বেসিক কম্পিউটার শিখতে কি কি জানা জরুরী? Basics of Computers - Introduction

 বেসিক কম্পিউটার শিখতে কি কি জানা জরুরী -Basics of Computers Introduction





কম্পিউটার কি?

কম্পিউটার হলো একটি আধুনিক যন্ত্র। যার মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাব নিকাশ সহ নানা ধরনের অত্যাধনিক কাজ করা হয়। 


কম্পিউটার সিস্টেম

কম্পিউটার সিস্টেম মুলত কতগুলো ইন্টিগ্রেটেড উপাদানের সমন্নয়ে সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে থাকে। কম্পিউটার সিস্টেমের উপাদানগুলো নিম্নরূপ আলোচনা করা হলো। 

  • হার্ডওয়্যার,
  • সফটওয়্যার,
  • হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী,
  • উপাত্ত বা ইনফরমেশন।


হার্ডওয়্যার

কম্পিউটারের যেই যন্ত্রাংশ গুলো স্পর্শ করা যায় বা ধরা সেগুলোকে মুলত হার্ডওয়্যার বলে। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে প্রাথমিকভাবে তিনভাগে ভাগ করা যায়।


ইনপুটযন্ত্রাংশ:

যেই যন্ত্রাংশগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটারের ভিতরে ইনপু দেওয়া যায় তাকে ইনপুট ডিভাইস বা ইনপু যন্ত্রাংশ বলা  হয়। 

যেমন: কম্পিউটার কিবোর্ড,কম্পিউটার মাউস,ডিস্ক, স্ক্যানার, কার্ড রিডার,ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।


সিস্টেম ইউনিট: 

যেই  যন্ত্রাংশের মাধ্যমে কম্পিউটার পরিচালিত হয় তথা সিস্টেমেটিক ভাবে কাজ করে  থাকে তাকে সিষ্টেম ইউনিট বলা হয়। 

যেমন: হার্ড ডিস্ক, কেদ্রীয় প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিট (সিপিউ), মাদারবোর্ড, এজিপি কার্ড, র‍্যাম ইত্যাদি।



আউটপুট যন্ত্রাংশ: যেই যন্ত্রাংশের মাধ্যমে কম্পিউটার আউটপুট দিয়ে থাকে তাকে কম্পিউটারের আউটপুট ডিভাইস বলা হয়। 

যেমন: প্রিন্টার,মনিটর,  প্রোজেক্টর,স্পিকার,হেড ফোন ইত্যাদি।


সফটওয়্যার

কম্পিউটার কে পরিচালনা করার জন্য যেই সকল প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয় তাকে সফটওয়্যার বলা হয় । কম্পিউটারের সফট্ওয়্যারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।


সিস্টেম সফটওয়্যার : 

যে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কম্পিউটারকে পরিচালনা করা হয় অর্থাৎ কম্পিউটারকে সংক্রিয় রাখে তাকে সিষ্টেম সফটওয়্যার বলা হয়। যেমন: উইনডোস, এন্টিভাইরাস ইত্যাদি। 


অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার :

যে সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটারের কার্য তথা কোন কাজকে সম্পন্ন করা হয় তাকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার করা হয়। যেমন: মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রাম, বিজয় বায়ান্ন, এডোব ফটোশপ ইত্যাদি। 


হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী

কম্পিউটার একা একা পরিচালিত হতে পারে না তাই  তাকে পরিচালনা করার জন্য কোন না কোন মানুষের প্রয়োজন হয় যাকে হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী বলা হয়। 


ডেটা/ইনফরমেশন

ডেটা হলো তথ্যের একককে বলা হয়। ডেটা প্রধানত দুই রকম হয়ে থাকে।

(ক) নিউমেরিক (Numeric) ডেটা বা সংখ্যাবাচক ডেটা। যেমনঃ ২৫,১০০,৪৫৬ ইত্যাদি। 

(খ) অ-নিউমেরিক (Non-Numeric) ডেটা। যেমনঃ মানুষ, দেশ ইত্যাদির নাম, জীবিকা, জাতি কিংবা ছবি, শব্দ ও তারিখ প্রভৃতি।


অপারেটিং সিস্টেম

অপারেটিং সিস্টেম

অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যা কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সিডিউলিং, ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট কন্ট্রোল, একাউন্টিং, কম্পাইলেশন, স্টোরেজ অ্যাসাইনমেন্ট, ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং আনুষঙ্গিক কাজ করে থাকে। বর্তমানে মাইক্রো কম্পিউটার বা পিসিতে বহুল ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমগুলো হলো -

  • ডস
  • উইন্ডোজ ৯৫
  • উইন্ডোজ ৯৮
  • উইন্ডোজ ২০০০
  • ইউনিক্স, উবুন্টু
  • মিন্ট (অপারেটিং সিস্টেম)
  • ডেবিয়ান
  • ফেডোরা
  • ম্যাক ওএসএক্স
  • উইন্ডোজ এক্সপি
  • উইন্ডোজ ভিস্তা
  • উইন্ডোজ ৭
  • উইন্ডোজ ৮
  • উইন্ডোজ ৮.১
  • উইন্ডোজ ১০
  • উইন্ডোজ ১১
  • লিনাক্স


প্রয়োগ

কম্পিউটারের ব্যবহার রয়েছে প্রচুর । ঘরের কাজ থেকে শুরু করে আমরা ব্যবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে এর  ব্যবহার করে থাকি। সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি এনেছে অনন্য বিপ্লব। চিকিৎসা, শিক্ষা ও মানবকল্যাণেও এর রয়েছে প্রচুর ব্যবহার। এক কথায় কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা প্রায় সকল কাজ করতে সক্ষম হয়। 


ভূগোলে কমপিউটারের ব্যবহার:

জি আই এস এ কম্পিউটার: GIS প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কমপিউটার ব্যবহার করা হয়। এ প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের সাহায্যে মানচিত্রে বিভিন্ন তথ্য যুক্ত করা হয়।


শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার:

মাল্টিমিডিয়া বা প্রযুক্তির মাধ্যমে শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট এক্সেলর বহুল ব্যবহৃত হয়।


কম্পিউটারের প্রকারভেদ

গঠন ও প্রচলন নীতির ভিত্তিতে কম্পিউটারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

  • অ্যানালগ কম্পিউটার
  • ডিজিটাল ইলেকট্রনিক কম্পিউটার
  • হাইব্রিড কম্পিউটার


 সামর্থ্য,আকার, দাম ও ব্যবহারের গুরুত্বের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়।


  • মাইক্রোকম্পিউটার
  • মিনি কম্পিউটার
  • মেইনফ্রেম কম্পিউটার
  • সুপার কম্পিউটার


মাইক্রো কম্পিউটারগুলোকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়।

  • ডেস্কটপ
  • ল্যাপটপ


সফটওয়্যার

কম্পিউটার কে পরিচালনা করার জন্য যেই সকল প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয় তাকে সফটওয়্যার বলা হয় । , যার সাহায্যে কম্পিউটারে কোনো নির্দিষ্ট প্রকারের কাজ সম্পাদন করা যায়।


বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে ব্যবহারিক সফটওয়্যার, যেমন- অফিস অ্যাপলিকেশন, এডোব ফটোশপ, বিজয় বায়ান্ন ইত্যাদি 


আবার কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার চালানো ও সার্বিকভাবে কম্পিউটার পরিচালনার জন্য এক প্রকারের সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলোকে বলা হয় অপারেটিং সিস্টেম, যেমন গ্নু/লিনাক্স, ম্যাকওএস, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ইত্যাদি। এ ধরনের সফটওয়্যারগুলো কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও অন্যান্য সফটওয়্যারের মাঝে সমন্বয় সাধন করে এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে সকল প্রকারের কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে।


এছাড়া  চাহিদা বা প্রয়োজন  অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার তৈরি করা হয়।


প্রধান প্রকারভেদ

সফটওয়্যার প্রধানত ৩ প্রকারঃ-


১. সিস্টেম সফটওয়্যার: সিস্টেম সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার চালনা করতে সহায়তা করে থাকে, সিস্টেম সফটওয়্যারের মধ্যে আছে অপারেটিং সিস্টেম, হার্ডওয়্যার ড্রাইভার ইত্যাদি।


২. প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার: প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার সফটওয়্যার চালানোর জন্য প্লাটফর্ম গঠন করে থাকে। 


৩. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার: যার মাধ্যমে কোন কাজ সম্পূন্ন করা হয়, যেমন: লেখা লেখি করার জন্য মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রাম। ছবি এডিট করার জন্য ফটোশপ ইত্যাদি 


কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ: 

এখানে কয়েটি ব্যবহারের ক্ষেত্র উদাহরণস্বরুপ দেখানো হলো। 

  • অফিস বেবস্থাপনা (In office Management)
  • মুদ্রণ শিল্পে (In Printing Industry)
  • শিল্প ক্ষেত্রে (In Industry Sector)
  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে (In Medical Sector)
  • যোগাযোগ ব্যবস্থায় (In Communication)
  • সামরিক ক্ষেত্রে (In Defence Sector)
  • গবেষণায় (In Research)
  • ব্যাংকিং জগতে (In Banking)
  • আদালত (In Court)
  • আবহাওয়ার পূর্বাভাসে (In Weather Forecast
  • তথ্য পরিসংখ্যানে (In Information Statistics)
  • অর্থবাজারে (In Billing System)
  • কৃষি ক্ষেত্রে (In Agriculture)
  • সংস্কৃতি ও বিনোদনে (In Cultures and Recreation)
  • ডিজাইনে (In Design)


এই পর্বে  আমরা কম্পিউটারের পরিচিতি সম্পর্কে বেসিক ধারণা নিলাম আশা করি পোস্ট পরে আপনি উপকৃত হয়েছেন। যদি পোষ্টটি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করে দিবেন। পোস্ট সম্পর্কে কোন ধরণের প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। 



Next Post
No Comment
Add Comment
comment url